বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
বশির আহাম্মদ, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:: স্ত্রীর পরকিয়া সম্পর্ক জেনে যাওয়ার কারনে জীবন দিতে হলো স্বামী মোঃ সুজন হোসেন(২৮) কে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩শে জুলাই বান্দরবানের লামা উপজেলায়।
লামার আলোচিত সুজন হত্যাকান্ডের বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন সুজন হত্যাকান্ডের অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং এ মিলিত হোন।
এসময় তিনি জানান, গত ২৩ জুলাই লামার মাতামুহুরী নদীতে একটি বিকৃত লাশ পাওয়া যায়। লাশটি পাওয়ার পর এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ড এ বিষয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে লাশটি শনাক্তের জন্য করা হয় মাইকিং। এক পর্যায়ে ভিকটিমের লাশটি সনাক্ত করে তার স্ত্রী নুর বানু। পরে আইনগত পক্রিয়া শেষ করে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে নিহত মোঃ সুজন এর ভাই মোঃ শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে লামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সোর্স নিয়োগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আসামীদের শনাক্তের জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে।
প্রেস ব্রিফিংকালে জেলা পুলিশ সুপার জানান, স্বামী নিখোঁজের পরেও থানায় কোন মামলা বা খোঁজখবর না নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করায় পুলিশের সন্দেহ হয় স্ত্রী নুর বানুর উপর। পুলিশ তদন্তের সময় জানতে পারে নিহত মোঃ সুজনের স্ত্রী নুর বানুর সাথে অবৈধ পরকিয়া সম্পর্কে জড়িত ছিলো মোঃ হানিফ, বিষয়টি স্বামী মোঃ সুজন জেনে ফেলায় স্ত্রী নুর বানু ও প্রেমিক মোঃ হানিফ মিলে সুজনকে হত্যা করে রাতের অন্ধকারে লাশটি নদীতে ফেলে দেয় পরবর্তীতে থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী নুর বানু স্বীকার করে পরকিয়া সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে যাওয়ার কারনে সে ও হানিফ মিলে স্বামী মোঃ সুজনকে হত্যা করে।
প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিক মোঃ হানিফ এবং স্ত্রী নুর বানু সহ ২ জন আসামী গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেন পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিং এ আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোঃ রায়হান কাজেমি, অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আলম, সহকারী পুলিশ সুপার, মোঃ সালাউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার, মোঃ আমজাদ হোসেন সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।